শৈশবের সিঙারা

সুদূর শৈশব থেকে কিছু গ্রাম্য সিঙারা নিয়ে ফেরিতে উঠেছেন এক প্রৌঢ় ফেরিঅলা। দেখেই লোভে আমার চোখ চকচক করে উঠলো। নাকে যেন লাগলো সেই পুরোনো ঘ্রাণ। পাতলা সে সিঙারার বাইরের আবরণ, শহুরে সিঙারার মতো পুরুষ্টু না। ভেতরে কয়েকটা আলু্, জিরে একটু বেশিই হয়েছে। কালিজিরার কণাও দেখা যায় কয়েকটা। চ্যাপ্টা হয়ে থাকে ইলিশের মতো সেজে।

আঙ্গুরবালা, তুমি তো জানো কৈশোরে এমন একটা সিঙারার জন্য আমি কেমন আকুল হয়ে থাকতাম বারোআড়িয়া হাটে। তখন দাম ছিলো তার এক টাকায় পাঁচটা। আজকেও প্রৌঢ়কে বললাম, "কাকা, সিঙারার দাম কতো?" কাকা বললেন, "তিন টাকা।"

কিন্তু আমি তো একটার দাম শুনতে রাজি না। আমার লাগবে পাঁচটা, সেই পাঁচটা, একসঙ্গেই। কাকাকে জিজ্ঞেস করতে তিনি খুশি। "পাঁচটা নিবেন, একসাথে?" উত্তর দিলাম, "হ্যাঁ। পাঁচটা কয় টাকা?" তিনি বললেন, "দশ টাকা দিয়েন।"

এক টাকার নোটটা দশ টাকায় রূপান্তর করে নেবো, আঙ্গুরবালা? বলো!