বিদ্যুৎবিভ্রাট ও রামপাল

আমরা দেখছি, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কতো জরুরি
-------------------------------------------------------
গতকাল আট ঘণ্টার যাত্রাশেষে বিকেল চারটেয় বাসায় ঢুকে দেখি বিদ্যুৎ নেই। ওই আটঘণ্টা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ করা যায়নি। সুতরাং ওটা মুমূর্ষু হয়ে রইলো। অফিসে গেলাম, জিজ্ঞেস করলাম, কতোক্ষণ? বেজার মুখে উত্তর এলো, সকাল দশটা থেকে। কোথাও কোনো মেরামতি, কেরামতি বা বেইজ্জতির সংবাদ পাওয়া গেল না। শুধু বিদ্যুৎ নেই। কারণ, মূল সঞ্চালন লাইন থেকে সাপ্লাই হচ্ছে না।

সুতরাং ল্যাপটপে যতোটুকুন বিদ্যুৎ জমা থাকে, সেটুকু খরচ করে, মোবাইলের চার্জ শেষ করতে করতে ভাবছি, এই তো, এক্ষুণি বিদ্যুৎ চলে আসবে। আসেনি। মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে, তবু আসেনি।

শেষরাতের দিকে এলেন তিনি। ততোক্ষণে বিরক্ত অবসন্ন আমি ঝোলাগুড়ের মতো গায়ে ঘাম মেখে ঘুমিয়ে গেছি। সকাল হতেই আবার গেলেন, এলেন দুপুরে। আবার তিনটায় গেলেন, এলেন সাড়ে পাঁচটায়। সাতটায় আবার গেলেন, এলেন মাত্রই।

আমাদেরকে কি বোঝানো হচ্ছে, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র অপরিহার্য্য? তা যদি বোঝানো হয় তবে কি কয়দিন পরে বোঝানো হবে কটকা বা হারবাড়িয়া বা হিরনপয়েন্টেও একটা করে বিদ্যুৎকেন্দ্র অপরিহার্য্য? তাহলে আমরা বুঝে গেছি। কী বুঝে গেছি তা আপনারও জানেন।

[অফটপিক : বহুদিন বসে বসে সিরিয়াস বই পড়ি না। ইন্টারনেট অভ্যেসটা প্রায় কেড়ে নিয়েছিলো। কাল রাত আর আজ দিনভর টমলিনসনের বোটানি অব ম্যানগ্রোভস্ পড়লাম। এটা হলো যন্ত্রণাকে সহনশীল করার প্রক্রিয়া। বলপয়েন্ট কলমে নোট নিলাম। খারাপ না। মানুষ হত্যারও এমন যুক্তি দেয়া যায় : জনসংখ্যা কমে যায়। পিরিয়ড]