চৈত্র সংক্রান্তির শৈশব

শোনো আঙ্গুরবালা, আমি যে কোনো ছুতোয় উৎসব করার পক্ষে। তাই তোমাকে আগেই শুভ নববর্ষ জানিয়ে রাখি। মানুষের এই যে ছকবদ্ধ জীবন, নানান ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করা, এর থেকে মুক্তির জন্য একটা দিন থাকা দরকার। পাশ্চাত্যে তবুও সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে যা খুশি করে কেউ কেউ, প্রাচ্যের এই অচলায়তনে সেই ‘যা খুশি’ করার স্বাধীনতাটাও মানুষ ভোগ করে না।

ইউজিন ও’নীলের একটি নাটকের মূল চরিত্র একজন পুলিশ। সে একদিন আত্মহত্যা করতে যায়। তার মনে হতে থাকে যে সে ক্লান্ত এবং এভাবে বেঁচে থাকার কোনো মানে নেই। একজন মানুষ সে, কিন্তু তার অস্তিত্ব কতোগুলো সাপেক্ষ দ্বারা নির্ধারিত। সে একাধারে সন্তান, পিতা, ভাই, স্বামী, বন্ধু, প্রেমিক, রক্ষাকর্তা, দাতা, গ্রহীতা, খদ্দের, বিক্রেতা, দালাল, মিথ্যেবাদি, সত্য-সন্ধানী, এমনি আরো কতো কি! স্বাধীন মুক্ত সার্বভৌম মানুষ হতে চায় সে। বহুবার চেষ্টা চালায়, কিন্তু সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতির আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা চক্র থেকে বেরোতে পারে না। এক পর্যায়ে এই সব সম্পর্ক তার কাছে অভিনয় বলে মনে হয়। জীবনটা মনে হয় অর্থহীন। আত্মহত্যা করা ছাড়া মুক্ত হবার আর কোনো উপায় থাকে না তার।

এই সূত্রেই জীবনানন্দ দাশের কথা মনে পড়লো : ‘শোনা গেল লাশকাটা ঘরে...’। ‘বধু শুয়ে ছিলো পাশে, শিশুটিও ছিলো, তবু সে দেখিল কোন ভুত?’ এরকম ভুত দেখা যায় কিন্তু। জীবনের জটিলতায় ভুত এসে সামনে দাঁড়ায়। কেউ কেউ সজ্ঞানে তা বুঝতে পারে। কেউ কেউ বুঝতে পারে না, তাই ভুতটাকে চেনা যায় না। কিন্তু ভুত তো আসেই। ঠিক যেমন পাকস্থলির হজমপ্রক্রিয়া না জানলেও হজম ঠিকই হয়। জীবনানন্দ কি নিজের কথাই বলছিলেন?

তো, সাধারণ মানুষের জীবন তো ঠিক এমন না, তাদের জীবনে চাহিদা ও প্রাপ্তিগুলো খুব ছোট ছোট, তাও জোটে কই! তাই তো স্থবির সমাজে মৃত্যুও এক ধরনের উৎসব। ওটা কেন্দ্র করে কিছু আচার অনুষ্ঠানাদি হয় অন্তত। সে কারণেই কোনো ধরনের উৎসবের বিরোধী না আমি। তা না হলে পহেলা বৈশাখের মতো উৎসব বর্জন করতেই ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে। এ দিনটিকে আমার উৎসবের জন্য জুৎসই মনে হয় না। এ দিনটি ছিলো আমার পূর্বপুরুষের পিঠে চাবুক পড়ার দিন। এদিন তাঁর খাজনা দিতে হতো। ঘটিবাটি বেচে, অপমানের চূড়ান্ত হয়ে তবে সম্মানহীন জীবনটা টিকিয়ে রাখতো সে। তার চেয়ে বরং পাঁচদিন পূর্ব থেকে চৈত্র সংক্রান্তি অবধি দিনগুলো উৎসবের বটে। যন্ত্রণার ঠিক আগের সুখের দিন! অষ্টক গানের মধ্য দিয়ে গ্রামে গ্রামে পুজোর চাঁদা তোলা, চড়ক পুজো আর সবথেকে জনসমাগমের জায়গাটায় একটা গ্রামীণ মেলা - এই তো জীবনের অনেকখানি পাওয়া!

বাড়িটা থেকে মিনিট তিনেক দক্ষিণে হাঁটলে গ্রামের সদর রাস্তা। তারপর আর মিনিট দুয়েক পশ্চিমে হাঁটলেই বাজার। গ্রামটা বেড়িবাঁধের ভেতরে হলেও বাজারটা বাইরে, স্কুলটাও। উত্তর-দক্ষিণদিকে সোজা চলে যাওয়া উঁচু বেড়িবাঁধটায় ওঠার আগেই যদি ডানদিকে তাকাও তাহলে বারোয়ারি পুজো-মন্দিরটা দেখতে পাবে। মন্দিরটার পেছনে বিরাট একটা শান বাঁধানো ঘাটের পুকুর পাবে। পুকুরটা রামবাবুর, তবে উন্মুক্ত। শান বাঁধানো ঘাটের পাশে একটা সোমত্ত আমগাছও থাকবে। রাস্তার বাঁ দিকে তাকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়। চৈত্র মাসের শেষের দিকে তুমি ডানদিকে তাকিয়েই হাঁটবে, কেননা তখন শিবের মুর্তিসহ কয়েকটি প্রতিমা গড়া হচ্ছে ওখানে। বাঁশ আর খড় দিয়ে কীভাবে যেন সুন্দর সুন্দর মানুষ তৈরি হচ্ছে। ওই কারিগরদের কাজ দেখলে তোমার মনে হবে এরা বুঝি প্রতিমাগুলোর দেহে জীবনও দিতে পারে! তুমি অবাক হয়ে দেখবে আর দেখবে। কখন যে তোমার স্কুলের টিফিনের সময় হয়ে যাবে, টের পাবে না। তখন তখনই বাড়ি ফিরে গেলে তো আবার মার হাতের মা’র খাবে। তাই তুমি ওখানেই থাকবে ছুটি হওয়া পর্যন্ত।

যাঁরা প্রতিমা গড়েন, তাঁদের মলিন চেহারা দেখলে অবশ্য তুমি কষ্ট পাবে। এমন কেন হয়, সেটা তোমাকে ভাবাবে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভাবাবে, মেঝো মামা (খুলনার মামা) বা বড়ো মামা এলে বেশ হতো! পাঁচটা টাকা নগদে উপহার হিশেবে পাওয়া যেতো। ক’দিন পরেই সংক্রান্তির মেলা বসবে বাজারে। সেদিন আর সদাইপাতি আসবে না, বাজারে থাকবে শুধু রঙিন ঘুড়ি, বেলুন, নানান ঢঙের আইসক্রিম, বাতাসা, রঙ-বেরঙের পাখা, পোড়ামাটির মাছ, হরিণ, ঘোড়া, নৌকো, মোরগ, মাটির ব্যাংক, হরেক রকম খেলনা, নায়ক-নায়িকার পোস্টার আর ভিউকার্ড, কাবুলি বুট ভাজা, বরফ দেয়া রঙিন পানি, আরো কতো কি!

বাজারের যে কোনাটায় জেলেরা মাছ নিয়ে বসে, ওখানে আইবুড়ো ছেলেরা সব সস্তা লটারি বসাবে। তাতেও অনেক মজা! রিং ছুঁড়ে ধরতে হবে তিব্বত পাউডার, হাবিব সাবান, সেভেন আপের বোতল, সাবানের কেস, আতর আর চাই কি একটা লাক্স সাবানও থাকতে পারে। তখনও বল সাবান আসেনি বাজারে। টেবিলে কেউ একজন আরেক লটারি নিয়ে বসবে। কৌটোর মধ্যে কাগজ থাকবে। তুমি একটাকা দিয়ে একটা ভাঁজ করা চিরকুট তুলবে। তাতে লেখা থাকবে, “গাছটা হলো সবুঝ বন্দু, ফুলটা হলো লাল; তোমার আমার ভালবাসা থাকবে চীরকাল।” তার মানে তুমি কিছু পাওনি।

একবার তুমি বাম্পার পুরস্কারটা পেয়ে যাবে। কী পাবে জানো? একটা কাঁচের জগ। তার আগে দুই ক্লাস উপরে একজন ইঁচড়ে পাকা তোমায় কানে কানে বলে দেবেন যে কৌটার তলার দিকটায় আঠা দিয়ে একটা চিরকুট লাগানো থাকে। ওটাতেই লেখা থাকে বাম্পার পুরস্কারের নাম। তুমি কৌটায় হাত ঢুকিয়ে খুঁজে ওটা তুলে আনবে। তারপর ঝগড়া লেগে যাবে। লটারির আয়োজক বলবে, এভাবে এত সময় ধরে চিরকুট তুললে হবে না। পুরস্কার বাতিল। ছেলেমেয়েরা সমান দুইভাগে ভাগ হয়ে যাবে। তখন বড়োরা এগিয়ে এসে তোমাকে পুরস্কারটা গছিয়ে দিয়ে বলবেন, “তুই এহানে ক্যান? দাঁড়া, তোর বাপরে কচ্ছি আমি!” তুমি ভয়ে মাথা নিচু করে চলে আসবে ওখান থেকে, আর ইঁচড়ে পাকাটা তোমার পেছনে পেছনে একটু ভেট পাবার জন্য ঘুরবে।

বাজারের দক্ষিণ পাশে ছোট বকুল গাছটা পার হয়ে যেখানে ফুটবল খেলা-টেলা হয়, ওখানে একজন নাগরদোলা নিয়ে আসবে। আগেরদিন নৌকোয় করে যখন নাগরদোলার আসন-পাটাতন-গাছ আনা হয়, তখন তুমি মুগ্ধ হয়ে দেখবে, কী করে এগুলো লাগিয়ে একটা দারুণ ঘূর্ণনক্ষম যন্ত্র বানিয়ে ফেলে! এদের হাতে নিশ্চয়ই জাদু আছে। যে কিশোর ছেলেটা প্রায় হেঁটে হেঁটে নাগরদোলার মূল খুুঁটিটার মাথায় উঠে গেল, সে তোমারই বয়সী। তুমি অবাক হয়ে ভাববে, কেন আমি এমন পারি না? তখন সন্ধ্যে হয়ে আসবে, তোমার ফিরে যেতে ইচ্ছে করবে না। যখন দেখবে আঁধার ঘনিয়ে আসছে, আর দাঁড়াবার উপায় নেই, তুমি তখন সাহস করে একজনকে জিজ্ঞেস করবে, “কালকে সহালেও কি এইগুলো লাগাবেন, কাকু?” উনি বলবেন, “না। রাত্তিরিই হয়ে যাবেনে!” তুমি হতাশ হয়ে বাড়ির দিকে ফিরবে তখন।

মামা এলে যে পাঁচটা টাকা পেতে তাতে একটা চাকাঅলা নৌকো; একটা চাকাঅলা মাটির ঘোড়া; কয়েকটা চিনি দিয়ে বানানো ঘোড়া, মোরগ আর মাছ কেনা যেতো। চাইলে একটা পদ্মগজা আর কাঠি লজেন্সও হয়ে যেতো। বাবার কাছে চাইলে তোমায় দিবে চারটে আধুলি বা দুটো এক টাকার নোট। মা হয়তো আরো দু’টাকা দিতে পারেন। সেটা খরচ করে ফেললে একটু রিং খেলা বা লটারি খেলাটা আর হবে না! তুমি কতোগুলো জিনিস কিনতে পারোনি তাই মনের ভেতর একরাশ হতাশা নিয়ে জীবনটা একদম মূল্যহীন ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরবে। বাড়ি ফিরেই তোমার মনে হবে, আহা নিজের জন্য যদি একটা তাক থাকতো! তারপরেই তুমি খেলনাগুলো সাজিয়ে রাখার জন্য একটা কলার খোলের আলমারি বানাতে লেগে যাবে। জানিয়ে রাখি, তোমার চাকাঅলা নৌকা দড়িতে বেঁধে টানতে টানতে কিন্তু পরদিনই চাকা ভেঙে যাবে!

ওদিকে পুজো চলছে। কী সব তার নাম, তুমি কি তা জানো! শুধু জানো যে পুজো শেষ হলে গুড়-বাতাসা-খই-মুড়ি একসঙ্গে মেশানো থাকবে আর তোমার দুই হাত, চাই কি কোরচ ভরে দিয়ে দিবেন বিশ্ব কাকু। ওগুলো নিয়ে তুমি তো বাড়ি যাবে না। মা দেখলে ‘চাইয়া নেছো, ছোচা মাইয়া হইছে এট্টা! যা দ্যাহে হেইয়াই খাইতে চায়! বারি কিছু খাইতে দ্যায় না?” - এইসব বাক্য মিলিয়ে এমন বকা দিবেন, যে তোমার পেট থেকে সব বেরিয়ে আসতে চাইবে। সুতরাং অন্য সবার মতো তুমিও রাস্তায় দাঁড়িয়ে বা বাড়ির দিকে হাঁটতে হাঁটতে সব খেয়ে নিবে। বুঝেছো? অবশ্য বিশ্ব কাকা সন্ধ্যেবেলা যখন বাড়িতে ধামায় করে ওই খাবার পৌঁছে দেবেন, তখন কিন্তু তুমি খেতে পারবে অন্নেকখানি! তোমার বাবা মাগরিবের নামাজ পড়ে ফিরে এসে নিজেও খাবেন আর বলবেন, “ধামাডা ফেরত দেওয়ার সোমায় এট্টু পোলাও দিয়া দিও”। কথাটা শুনে তোমার পোলাওয়ের ঘ্রাণ মাথায় ঘুরবে।

মেলায় ঘুরতে ঘুরতে তোমাকে কয়েকটা ইঁচড়ে পাকা চ্যাংড়া একটা চমকদারি খবর দেবে। ওরা তোমার সামনেই তোমাকে বা অন্য কাউকে বলবে যে, “রায়পুরে চড়ক পুজো হচ্ছে, যাবি?” তুমি সেদিকে কাতর দিৃষ্টিতে তাকাবে। দশাসই একজন বলবে, “এই ছিমড়া, তুই যাবি!” তুমি তখন বাবার কথা ভাববে, দেরি হয়ে যাবার কথা ভাববে, পুরো রাস্তাটা চিনে ফিরতে পারবে কিনা সেটাও ভাববে। তারপর বলবে, “না বাবা, যাবো না। আব্বা মারবেনে।” ওদের কেউ একজন তোমাকে সাহস দেয়ার চেষ্টা করবে, তারপর একজন তোমাকে কাঁধেই তুলে নিয়ে বলবে, “চল!” সহপাঠি হলেও তুমি ওদের তুলনায় নিতান্তই ক্ষুদ্র। তাই ওদের পেছন পেছন পুবমুখে পঞ্চাশ গজ গিয়ে তুমি বেড়িবাঁধটায় উঠবে। তারপর চলবে দক্ষিণমুখো রায়পুর গ্রামে। বেশি দূর না, মাত্র এক কিলোমিটার হবে!

আঙ্গুরবালা, রায়পুরে গিয়ে আবার বায়ে গ্রামের ভেতরে নামবে তুমি। গ্রামের একটা চাতালে (চত্ত্বরে) দেখবে কয়েকটি ধাঙড় ছেলে তরতর করে খেঁজুর গাছে উঠে যাচ্ছে, তারপর কাঁটার তোয়াক্কা না করেই খেঁজুর গাছের মাথায় নাচছে। তাদের পায়ের চাপে খেঁজুরের পাতাগুলো ভেঙে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের পায়ে কোনো কাঁটা ফুটছে না। তোমার মনে হবে, তুমি ছাড়া দুনিয়ার সবাই পিসি সরকারের মতো ম্যাজিক জানে। কাঁচা কাঁচা খেজুর টপাটপ পড়ছে গাছের তলায়। আর তাই খুটে নিচ্ছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। মাঝামাছি কচিগুলো ওরা চিবোবে, কষ কষ লাগবে, কিন্তু চিবোতে মজাও হবে। শুরু থেকেই ঢাক বাজবে ডা-ডা-ডা, ডা-ডা-ডা, ডা! তার তালে তালে ভীড়ের ঠিক মদ্যিখানে কতোগুলো ছেলেমেয়ে নাচবে। এক তালের নাচ। সুর আর তাল মিলে এমন হবে যে তুমি মনে মনে যে কোনো গান গাইতে পারবে। মাঠের মধ্যে পিঠে হুক বিঁধে কারা যেন চরকির মতো ঘুরছে বলে তুমি শুনতে পাবে, কিন্তু ঘটনাটা ভাবলেই তোমার গা শিউরে উঠবে। তাই তুমি সেদিকে যাবে না।

তন্ময় হয়ে বাদ্য আর নাচ দেখতে দেখতে তুমি আবিস্কার করবে যে, তোমার সঙ্গীরা সব চলে গেছে বিলের মাঝখানে চড়ক দেখতে। কিছুদিন আগে ধান কাটা হয়েছে। ধানগাছের গোড়াটা রয়ে গেছে মাটিতে। তার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে। সেই ভীড়ে তুমি কাউকেই খুঁজে পাবে না। তক্ষুণি তোমার বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করবে। ভয় লাগবে। একা একা এতটা পথ কীভাবে যাবে সে কথা ভাবতে ভাবতে তুমি রাস্তার উপর চলে আসবে। আঙ্গুরবালা, হাঁটতে হাঁটতে তোমার মনে পড়বে দাইবাড়ির (ধাইবাড়ি) কুকুরগুলো প্রায়ই বিকেল বেলা সদর রাস্তার উপরে ঘোরাঘুরি করে, আর ওগুলো ভয়ানক চিৎকার করে। কুকুরগুলো তাড়া লাগালে তোমার যাবারও কোনো জায়গা নেই। তোমার ডানপাশে বিরাট একটা পুকুর, দাইবাড়ির পুকুর নামেই চেনো তোমরা। বামপাশে সাদাদের বাড়ি, কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। তোমার বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ করতে থাকবে। তুমি পা টিপে টিপে হাঁটবে যাতে পেছনের একজন বয়স্ক লোক এরই মধ্যে এসে পড়েন। কিন্তু একদিকে চড়ক, একদিকে খেঁজুরভাঙা আরেকদিকে মেলা - এই সবকিছু রেখে কে আসবে? অতএব তুমি হাঁটবে আর ‘আর কোনোদিন, এদের সাথে আসবো না। এবারের মতো মাফ করে দ্যাও আল্লা!’ এরকম বলতে থাকবে। আর তখনই তোমার মনে পড়বে, দাইবাড়ি পেরিয়ে যাবার সময় দম বন্ধ করে রাখলে কুকুরে কামড়ায় না, এই সূত্র দিয়েছিলো একজন বুড়ো ভিক্ষুক!

এমন সময় দাইবাড়ি তোমার সামনে এসে পড়বে!