Neolamarckia cadamba (কদম)

Neolamarckia cadamba (Roxb.) Bosser (1984)
বাঙলা নাম (Bengali Names) : কদম, কদম্ব, নীপ
ইংরেজি নাম (English Names) : Burflower, Cadam, Laran, Kadam, Leichhardt Pine
--------------------------------------------------------
বৈজ্ঞানিক নাম (Scientific Name) : Neolamarckia cadamba (Roxb.) Bosser (1984)

সমনাম (Synonyms): Anthocephalus cadamba (Roxb.) Miq., Anthocephalus chinensis (Lam.) Hassk., Anthocephalus indicus var. glabrescens H.L.Li, Anthocephalus morindifolius Korth., Nauclea cadamba Roxb., Nauclea megaphylla S.Moore, Neonauclea megaphylla (S.Moore) S.Moore, Samama cadamba (Roxb.) Kuntze, Sarcocephalus cadamba (Roxb.) Kurz

বাঙলা নাম : কদম, কদম্ব, নীপ

ইংরেজি নাম : Burflower, Cadam, Laran, Kadam, Leichhardt Pine

অন্যান্য নাম : কদম্ব্ (হিন্দি), Kaduavalatige (কানাড়া), Vellakadambu (মালয়ালাম), Vellaikkatampu (তামিল), Rudrakskamba (তেলেগু)

গোত্র : Rubiaceae (কদম গোত্র)

উদ্ভিদের ধরন : বৃক্ষ (Tree)

বাদাগাছের ধরন : অবাদাগাছ (Non Mangrove)

কত্ ধাতুর সঙ্গে অম্বচ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘কদম্ব’ শব্দটির উৎপত্তি। কত্-এর অর্থ হলো ‘বিবশতা’। কদম ফুলের রস ও গন্ধ স্নায়ু দুর্বল করে বলে এমন নাম দেয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ তাঁর বৃক্ষকথা গ্রন্থে কদমের বৈজ্ঞানিক নাম লিখেছেন Anthocephalus indicus A.Rich. (1830) যা আসলে মাদাগাস্কারের একটি স্থানীয় প্রজাতি। কদমের সঠিক বৈজ্ঞানিক নাম Anthocephalus cadamba (Roxb.) Miq. (1856)। বর্তমানে Anthocephalus cadamb‘র বদলে Neolamarckia cadamba নামটিই গৃহীত।

“নীচে নামে গিরি সেখানে আছে
                তার শিখরে বিশ্রামে নামবে
তোমার স্পর্শের পুলকে
              ফোটাবে যে নবকদম্বের গুচ্ছ।” 
(কালিদাসের মেঘদূতম, অনুবাদ : বুদ্ধদেব বসু)

“এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে, এসো করো স্নান নবধারাজলে।
দাও আকুলিয়া ঘন কালো কেশ, পরো দেহ ঘেরি মেঘনীল বেশ -
কাজলনয়নে, যূথীমালা গলে, এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে।।”
(প্রকৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

“নীপবন হতে সৌরভে আনে
        ভাষাবিহীনার ভাষ্য।
জোনাকি আঁধারে ছড়াছড়ি করে
        মণিহার-ছেঁড়া-হাস্য “
(মানসী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

“বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান,
     আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান।
     মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে
এই-যে আমার সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার ধান।।”
(প্রকৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

"কদম গাছের ডালে পূর্ণিমা-চাঁদ আটকা পড়ে
যখন সন্ধেকালে
তখন কি কেউ তারে ধরে আনতে পারে।”
(জ্যোতিষ-শাস্ত্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

“গহন তিমির নিশি ঝিল্লিমুখর দিশি শূন্য কদম তরুমূলে,
ভূমিশয়ন-'পর আকুল কুন্তল, কাঁদই আপন ভুলে।”
(ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

“ফুলটি ফুটিলে চাঁদিনী উঠিলে’ এমনই রূপালি রাতে
কদমতলায় দাঁড়াতাম গিয়ে বাঁশের বাঁশিটি হাতে!”
(অস্তচাঁদে, জীবনানন্দ দাশ)

“মালতীলতার বনে, কদমের তলে,
নিঝুম ঘুমের ঘাটে–কেয়াফুল,–শেফালীর দলে!”
(একদিন খুঁজেছিনু যারে, জীবনানন্দ দাশ)

“কদমের ডালে আমি শুনেছি যে লক্ষ্মীপেঁচা গেয়ে গেছে গান
নিশুতি জ্যোৎস্না রাতে, - টুপ টুপ টুপ টুপ সারারাত ঝরে 
শুনেছি শিশিরগুলো ম্লানমুখে গড় এসে করেছে আহ্বান”
(পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত, জীবনানন্দ দাশ)

তথ্যসূত্র
আহমেদ, হুমায়ুন (২০০৯). বৃক্ষকথা. অন্যপ্রকাশ. ঢাকা : ফেব্রুয়ারি ২০০৯
Encyclopedia of Life, Flowers of India, Indian Biodiversity Portal, The Plant List