সর্দিকাশির ভেষজ ওষুধপত্র
সর্দিকাশি এক মহাযন্ত্রণা! সৈয়দ মুজতবা আলী অবশ্য সর্দিকাশির প্রশংসাই করেছেন। তিনি অবশ্য সর্দিকাশির ওষুধও বাৎলে দিয়েছেন। তাঁর মতে সর্দিকাশি এমন অসুখ যা সেরে ওঠার জন্য দেড় শতাধিক ওষুধ খাওয়া সম্ভব। এসব ওষুধের কোনো একটা খেলেই ‘খেলে সাতদিন, না খেলে এক সপ্তাহ’ পরে সর্দিকাশি সেরে যায়। তবে আয়ুর্বেদিক নাক বা গলার সমস্যায় বেশ উপকার দেয় বলে শোনা যায়। এমনতরো ওষুধ কী দিয়ে তৈরি হয়?
কাশি বা গলার ইনফেকশনের ওষুধে ব্যবহার করা হয় ১৫ ধরনের ভেষজ উদ্ভিদের নির্যাস, তিন ধরনের উদ্ভিদের ত্রিফলা (Triphala), তিন ধরনের কটুস্বাদের উদ্ভিদের নির্যাস ত্রিকটু (Trikatu), তিন ধরনের উদ্ভিদের চূর্ণ বা ত্রিজাতক (Trijatak) ও দশটি মূলের সমন্বয়ে দশমূল (Dashamula)।
পরিচয় হোক তবে :
প্রধান ওষুধ
কাশি বা গলার ইনফেকশনের ওষুধে ব্যবহার করা হয় ১৫ ধরনের ভেষজ উদ্ভিদের নির্যাস, তিন ধরনের উদ্ভিদের ত্রিফলা (Triphala), তিন ধরনের কটুস্বাদের উদ্ভিদের নির্যাস ত্রিকটু (Trikatu), তিন ধরনের উদ্ভিদের চূর্ণ বা ত্রিজাতক (Trijatak) ও দশটি মূলের সমন্বয়ে দশমূল (Dashamula)।
পরিচয় হোক তবে :
প্রধান ওষুধ
------------------------------------
অর্জুন : Terminalia arjuna (Roxb. ex DC.) Wight & Arn.
অর্জুন : Terminalia arjuna (Roxb. ex DC.) Wight & Arn.
আঙুর : Vitis vinifera L.
কাইফল : Myrica nagi Thunb.
কাঁকড়াশৃঙ্গী : Rhus succedanea L.
চন্দন (শ্বেতচন্দন) : Santalum album L.
ধাতুপ (তাম্রপুষ্পী) : Woodfordia fruticosa (L.) Kurz
পাচক (কোথ) : Saussurea costus (Falc.) Lipsch.
পুনর্নবা : Boerhavia diffusa L.
পুস্করমূল : Inula racemosa Hook.f.
বচ (ঘোড়াবচ) : Acorus calamus L.
বারাঙ্গি : Rotheca serrata (L.) Steane & Mabb.
বাসক : Justicia adhatoda L.
যষ্টিমধু : Glycyrrhiza glabra L.
লবঙ্গ : Syzygium aromaticum (L.) Merr. & L.M. Perry
হলুদ : Curcuma longa L.
ত্রিফলা
কাইফল : Myrica nagi Thunb.
কাঁকড়াশৃঙ্গী : Rhus succedanea L.
চন্দন (শ্বেতচন্দন) : Santalum album L.
ধাতুপ (তাম্রপুষ্পী) : Woodfordia fruticosa (L.) Kurz
পাচক (কোথ) : Saussurea costus (Falc.) Lipsch.
পুনর্নবা : Boerhavia diffusa L.
পুস্করমূল : Inula racemosa Hook.f.
বচ (ঘোড়াবচ) : Acorus calamus L.
বারাঙ্গি : Rotheca serrata (L.) Steane & Mabb.
বাসক : Justicia adhatoda L.
যষ্টিমধু : Glycyrrhiza glabra L.
লবঙ্গ : Syzygium aromaticum (L.) Merr. & L.M. Perry
হলুদ : Curcuma longa L.
ত্রিফলা
------------------------------------
আমলকী : Phyllanthus emblica L.:
হরীতকী : Terminalia chebula Retz.
বহেরা : Terminalia bellirica (Gaertn.) Roxb.
ত্রিকটু
------------------------------------
আদা : Zingiber officinale Roscoe
গোলমরিচ (কালিমরিচ) : Piper nigrum L.
পিপুল : Piper longum L.
ত্রিজাতক
------------------------------------
তেজপাতা : Cinnamomum tamala (Buch.-Ham.) T.Nees & Eberm.
দারুচিনি : Cinnamomum verum J.Presl
সবুজ এলাচ : Elettaria cardamomum (L.) Maton
দশমূল
------------------------------------
ত্রিকটু
------------------------------------
আদা : Zingiber officinale Roscoe
গোলমরিচ (কালিমরিচ) : Piper nigrum L.
পিপুল : Piper longum L.
ত্রিজাতক
------------------------------------
তেজপাতা : Cinnamomum tamala (Buch.-Ham.) T.Nees & Eberm.
দারুচিনি : Cinnamomum verum J.Presl
সবুজ এলাচ : Elettaria cardamomum (L.) Maton
দশমূল
------------------------------------
অরণি : Premna serratifolia L.
কণ্টিকারী : Solanum virginianum L.
কণ্টিকারী : Solanum virginianum L.
কানাইডিঙ্গা : Oroxylum indicum (L.) Kurz
গামারি : Gmelina arborea Roxb.
গোক্ষুর : Tribulus terrestris L.
গামারি : Gmelina arborea Roxb.
গোক্ষুর : Tribulus terrestris L.
পারুল : Stereospermum chelonoides (L.f.) DC.
বৃহতী বেগুন : Solanum indicum L.
বেল : Aegle marmelos (L.) Corrêa
শালপর্ণী : Desmodium gangeticum (L.) DC.
শঙ্করজটা : Uraria picta (Jacq.) DC.
অর্জুন, আঙুর, কাইফল, কাঁকড়াশৃঙ্গী, চন্দন (শ্বেতচন্দন), ধাতুপ (তাম্রপুষ্পী), পাচক (কোথ), পুনর্নবা, পুস্করমূল, বচ (ঘোড়াবচ), বারাঙ্গি, বাসক, যষ্টিমধু, লবঙ্গ, হলুদ প্রত্যেকটি ২.৫% হারে মেশাতে হবে। এর সঙ্গে ত্রিফলার প্রত্যেকটি ১৩% হারে, ত্রিকটুর প্রত্যেকটি ৩% হারে, ত্রিজাতকের প্রত্যেকটি ২.৫% হারে এবং দশমূলের প্রত্যেকটি ০.৫% হারে মেশালেই তৈরি হয়ে গেল সর্দিকাশির ওষুধ।
অর্জুন, আঙুর, কাইফল, কাঁকড়াশৃঙ্গী, চন্দন (শ্বেতচন্দন), ধাতুপ (তাম্রপুষ্পী), পাচক (কোথ), পুনর্নবা, পুস্করমূল, বচ (ঘোড়াবচ), বারাঙ্গি, বাসক, যষ্টিমধু, লবঙ্গ, হলুদ প্রত্যেকটি ২.৫% হারে মেশাতে হবে। এর সঙ্গে ত্রিফলার প্রত্যেকটি ১৩% হারে, ত্রিকটুর প্রত্যেকটি ৩% হারে, ত্রিজাতকের প্রত্যেকটি ২.৫% হারে এবং দশমূলের প্রত্যেকটি ০.৫% হারে মেশালেই তৈরি হয়ে গেল সর্দিকাশির ওষুধ।