Shorea robusta (শাল)

Shorea robusta Gaertn. (1805)

সমনাম : পাওয়া যায়নি

বাঙলা নাম : শাল, গজারি

অন্যান্য নাম : শাল (সংস্কৃত), শান (হিন্দি), দামার (হিন্দি), সাখু (হিন্দি), সল্ব (ওড়িয়া), সেকওয়া (ওড়িয়া), রালধুনা (মুম্বাই) 

ব্যবহার
শালগাছের আঠাকে ধুনো বলা হয়। শরীরের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের পচন বন্ধ করা এবং ক্ষত নিবারণের জন্য ধুনো ব্যবহার করা হয়। ধুনো আগুনে পোড়ালে যে ধোঁয়া হয় তা সুগন্ধী এবং জীবাণুনাশক।

সংস্কৃতি
মহাভারতের অনার্যরাক্ষস হিড়িম্ব ও হিড়িম্বা থাকতো শালগাছে। হিড়িম্বার সঙ্গে ভীমের বিয়ে হয়। 

কপিলাবস্তুর লুম্বিনিকাননে শালবৃক্ষের তলে গৌতম বুদ্ধ কোনো এক বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেন বলে বৌদ্ধধর্মের অনুসারীগণ বিশ্বাস করেন।

“ক্লান্ত যখন আম্রকলির কাল,
      মাধবী ঝরিল ভূমিতলে অবসন্ন,
সৌরভধনে তখন তুমি হে শাল,
     বসন্তে করো ধন্য।”
 [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (নবীন : দ্বিতীয় পর্ব) 

নীল আকাশের কোণে কোণে ওই বুঝি আজ শিহর লাগে আহা।
শাল-পিয়ালের বনে বনে কেমন যেন কাঁপন জাগে আহা॥”
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (প্রকৃতি : ২৬০)] 

“ঝাউ হরিতকী শাল, নিভন্ত সূর্যে
পিয়াশাল পিয়াল আমলকি দেবদারু –
বাতাসের বুকে স্পৃহা, উৎসাহ, জীবনের ফেনা;“
[জীবনানন্দ দাশ (বনলতা সেন : আমাকে তুমি)]