Holarrhena pubescens (কুরচি)

বৈজ্ঞানিক নাম : Holarrhena pubescens Wall. ex G.Don

সমনাম : Chonemorpha antidysenterica (Roth) G.Don; Chonemorpha pubescens (Wall.) G.Don; Echites antidysentericus Roxb. ex Fleming; Echites pubescens Buch.-Ham.; Elytropus pubescens (Wall.) Miers; Holarrhena antidysenterica (Roth) Wall. ex A.DC.; Holarrhena antidysenterica Wall.; Nerium sinense Hunter ex Ridl.; Physetobasis macrocarpa Hassk.

গোত্র : Apocynaceae

বাঙলা নাম : কুরচি, কুর্চি, কুটজ, গিরিমল্লিকা, ইন্দ্রজা, তিতা ইন্দ্রজা, তিক্ত ইন্দ্রজা, ইন্দ্রজাভা, ইন্দ্রঘোষ, বৎসক

সংস্কৃতি

“এই ভেবে সে কুরচি ফুলে
অর্ঘ্য রচি ঊর্ধ্বে তুলে
শিষ্ট-সাদর সম্ভাষণে
এগিয়ে এল মেঘার্চনে।”
(মেঘদূত, কালিদাস)

“যদিও জানি তুমি আমার প্রিয় কাজে যাত্রায় উৎসুক
দেখছি তবু সব কুটজ-সৌরভে মোদিত পর্বতে কাটবে কাল।”
(মেঘদূত, কালিদাস)

কুরচি, তোমার লাগি পদ্মেরে ভুলেছে অন্যমনা
যে ভ্রমর, শুনি নাকি তারে কবি করেছে ভর্ৎসনা।”
(বনবাণী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

“সূর্যের আলোর ভাষা আমি কবি কিছু কিছু চিনি,
কুরচি, পড়েছ ধরা, তুমিই রবির আদরিণী।”
(বনবাণী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) 

“কুরচি আর করন্ধা নিয়ে এল সুগন্ধের বন্যা। অথচ কেউ দেখল না সেই অপরূপ ঋতু-উৎসব, কোনো দিকে তার খবর গেল না - খানিকটা দেখলে বুড়ো রামলাল, আওড়ায় রামচরিতমানস থেকে -”
(জাল [মুহূর্তকথা], বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)

“বৌমা ও উমাকে নিয়ে একদিন ফুলডুরির পেছনকার শালবনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কী সুন্দর কুরচি ফুল ফুটেছে বনে। একটা ঝরনা বর্ষার জলে ভরপুর, এঁকে বেঁকে চলেচে বনের মধ্য দিয়ে।”
(উৎকর্ণ, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)

“এত বড় বড় শাল ও আযান গাছও সিংহভূমির অন্য অঞ্চলে দেখা যায় না। মোটা মোটা কাছির মত লতা এগাছ থেকে ওগাছে জড়াজড়ি করে রয়েছে। বড় বড় কুরচি ফুলের গাছ। এত বড় কুরচি গাছ আমি তো কোথাও দেখিনি।”
(হে অরণ্য কথা কও, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)